ঢাকাবুধবার , ২৭ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ 

নিউজ.
মার্চ ২৭, ২০২৪ ১:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনির বামনডাঙ্গা টু তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ সংস্কারে কোথাও বাঁধের নীচের মাটি খুঁড়ে বাঁধে ফেলা হচ্ছে তো কোথাও সামনে নদীর বড় চর থাকা সত্ত্বেও দলিত জনগোষ্ঠীর মাটির দেওয়াল ঘেঁষে মাটি ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন আমাকে কাজের ব্যাপারে পাউবো কিছুই জানায়নি। ঠিকাদারের লোক বলছে এভাবে মাটি খুঁড়ে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এস ও স্যার দেখে বলে গেছেন কোন সমস্যা হবে না। এসব অনিয়মের প্রতিকার প্রার্থনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার বিকালে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণকারী বামনডাঙ্গা স্লুইসগেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২ পোল্ডারে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। ঠিকাদার বি এম রাজ্জাক দুটি স্কেবেটর মেশিন দিয়ে স্লুইসগেট থেকে দক্ষিণ দিকে খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে চলমান ৩০০ মিটার কাজের প্রায় অর্ধেক শেষ করেছেন। গ্রামবাসীর অভিযোগ কান্ট্রি সাইটে মৎস্য ঘেরের ভেতর থেকে ও রিভার সাইটে বেড়িবাঁধের স্লোবের ৩ ফুট দুর থেকে দুটি মেশিনে মাটি খুঁড়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে। ঠিকাদারের পক্ষে কাজ তদারককারী আব্দুল খালেক বলেন, চরের মাটি নরম গাড়ি বসে যাচ্ছে। এভাবে মাটি কাটা ছাড়া উপায় নেই। স্যার (এস ও সুমন আলী) এসে দেখে গেছেন। কোন সমস্যা নেই বাঁধের কিছু হবে না। সাংবাদিকরা তার কাছে ঠিকাদারের নম্বর চাইলে তিনি বলেন নাম্বার দেওয়া নিষেধ আছে। দিতে পারব না।
পাউবোর দায়িত্ব প্রাপ্ত এস ও সুমন আলী বলেন, এখানে ৭০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। বাঁধের উচ্চতা ৩ ফুট, ১০ ফুট প্রস্থ ,রিভার সাইটে স্লোব ১০ ফুট ও কান্ট্রি সাইটে স্লোব ২০ ফুট। কত বরাদ্দ স্যার বলতে পারবেন। আমি মঙ্গলবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখেছি। পাশে শক্ত মাটি না থাকায় বাঁধের নীচ থেকে মাটি নিতে দেখেছি। ওদের বলেছি মেশিনে যতদুর থেকে সম্ভব সেখান থেকে মাটি নিতে। একেবারে বাঁধের নীচের থেকে খোঁড়াখুঁড়ি করলে বাঁধের কোন ক্ষতি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে বামনডাঙ্গা স্লুইসগেট থেকে উত্তরে নড়েরাবাদ স্লুইসগেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্থানীয় লোকজন জানান, বাঁধের দুই ধারে নিয়ম অনুযায়ী স্লোব না করে বাঁধের নীচের দিকে খাড়াখাড়ি ভাবে মাটি খুঁড়ে মাটি ফেলা হয়েছে। একটি বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই সব মাটি ধুয়ে আবার যা তাই অবস্থায় চলে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ঋষি বাড়ির সামনে বাঁধের বাইরে প্রচুর খাসজমি থাকলেও সেদিকে মাটি ফেলে বাঁধ প্রশস্ত না করে ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে মাটি ফেলা হয়েছে। বৃষ্টি হলে বাঁধের পানি মাটির ঘরের দেওয়ালে লাগলে ঘর ধ্বসে পড়ার ভয় আছে।
এ ব্যাপারে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান, আমার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে অথচ আমাকে তারা জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। সামনে চর থাকা সত্ত্বেও বাঁধের মাটি কেন মানুষের ঘরের দেওয়ালে ফেলতে হবে আমার জানা নেই। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি ও মেহেদী হাসান শুভ সাংবাদিকদের বলেন, আশাশুনিতে অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। ফাইল দেখে বরাদ্দ কত বলতে পারব। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।