ঢাকাবুধবার , ২৭ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা 

নিউজ.
মার্চ ২৭, ২০২৪ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়ে চলছে  চিকিৎসাসেবা।
প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য চলে যেতে হচ্ছে জেলার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০ থেকে এক হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে ৩৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যন্ত ভর্তি থাকেন। বিপুল সংখ্যক এই রোগীর জন্য ৫৬টি চিকিৎসকের পদ বরাদ্দ থাকলেও, ৩০টি রয়েছে শূন্য। এর মধ্যে সহকারী পরিচালক, কনসালটেন্ট চক্ষু, অ্যানেসথেশিয়া, সার্জারি ও কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও ফাঁকা রয়েছে।
এছাড়া নার্সের ১০৯টি পদের মধ্যে ২৮টি পদ শূন্য এবং ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৭৭ টি পদের মধ্যে ৪৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কাজেও রয়েছে নানা বিড়ম্বনা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
রোগী মিতু খাতুন বলেন, এখানে নতুন ৬টি টিকিট কাউন্টার রয়েছে। কিন্তু মাত্র দুই তিনটা কার্যক্রম চলে। বাকিগুলো খোলা থাকলে আমাদের বাইরে লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। ভোগান্তি আরও অনেক কম হতো।
বুকে ব্যথাসহ নানা অসুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের বিধবা শাহনুর বেগম। বেড না পেয়ে মেঝেতেই চলছে তার চিকিৎসা। সরকারি হাসপাতালে থেকেও বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে হতদরিদ্র এ রোগীর।
কচুয়ার হাজরাখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখন খুলনা নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা এলাকা থেকে আসা নুরুল আমিন বলেন, চিকিৎসকরা খুবই আন্তরিক। কিন্তু রক্তের পরীক্ষা করা লাগে বাইরে থেকে এজন্য আমাদের খরচ বেড়ে যায়।
বহির্বিভাগে অপেক্ষারত ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আবছার মোল্লা বলেন, চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। শুনলাম চোখের ডাক্তার নেই। পরে ভাবলাম কানের ডাক্তার দেখিয়ে যাই, শুনলাম তাও নেই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।