ঢাকাশুক্রবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুজব প্রতিরোধে সাইবার যোদ্ধাদের এখনই এগিয়ে আসার সময়

নিউজ.
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ড. কাজী এরতেজা হাসান: বাংলাদেশে এখন বহু মানুষের হাতে রয়েছে মোবাইল, ফলে সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে যাওয়ার আশংকা এখন বেশি। এরপর স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন পুরোপুরি সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে তারা এদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে নিয়মিত। যেমনটা ঘটেছিল, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়।
তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তামান্না তানজিনা দেখতে পান তার ফেসবুক পাতা জুড়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগবে এমন ভুয়া খবরে সয়লাব।
শুরুতে বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব না দিলেও এই গুজবকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনায় তিনি মনে করেন বিষয়টিতে সরকারের মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
“আমার ফেসবুকে প্রথমে এরকম বেশ কয়েকটা ভুয়া পোস্ট দেখি। কিন্তু এরকম একটি বানোয়াট পোস্ট এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, আমি ভাবিনি। অবাক হয়ে দেখলাম আমার বাসার ড্রাইভার, গৃহপরিচারিকা সবাই এটাকে বিশ্বাস করছে।”
“যেভাবে এই গুজবটা ছড়িয়ে যাচ্ছে, তা এখনও চলমান নানা বিষয়ে। এজন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।” – বলেন মিস তানজিনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের বিভ্রান্তিকর পোস্টের জেরে সহিংস ঘটনায় ৮ জন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে জন সচেতনতামূলক, প্রতিরোধমূলক ও আইনগত-এই তিন ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা সন্দেহজনক ৬০টি ফেসবুক আইডি, ২৫টি ইউটিউব লিংক এবং ১০টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুজব রটনাকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করছে নিয়মিত।
এর আগে বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট সরাসরি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুজব ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
তবে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, গত বছরের ৫ জানুয়ারি  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অসত্য সংবাদ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছিল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দশম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছিল। কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কাজী কেরামত আলী, বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), সাইমুম সরওয়ার কমল ও খ. মমতা হেনা লাভলী।  তবে এই বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ গত এক বছরে চোখে পড়েনি।
ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দলের নেতাকর্মীদের ডেকে এবার সাইবার যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীদের মাঠের পাশাপাশি অনলাইন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ নিদের্শনা দেন।
আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, গত ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে এ অবস্থায় এনে দাঁড় করালেও তার সহকর্মী অধিকাংশ মন্ত্রী ও এমপিই এখনো তাল মিলিয়ে চলতে পারেননি। জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে দেড় শতাধিক এমপি-মন্ত্রী ঠিক মতো ফেসবুকই চালাতে জানেন না। অনেকে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পরেছেন। তারা প্রযুক্তিগতভাবেও তেমন কিছুই জানেন না। ফলে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনে স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই স্মার্ট নেতৃত্ব নির্বাচন জরুরি। আরেকটা কথা বলতে চাই, বাংলাদেশের অনেক এমপি-মন্ত্রীর ফেসবুক দেখলেই বুঝা যায় তারা সরকারের পক্ষে কতটা সরব। একটু নজর দিলেই দেখা যাবে সেখানে বহিস্কৃত ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এমরানের মতো আরো অনেক মীরজাফর ও বিশ্বাসঘাত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে। দুঃখই লাগে, যখন সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হয়। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদে যারা আছেন তাদের আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। আর এই সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে সরকার বিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা একজোট হয়ে গুজব রটিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। ফলে এখনই সময় এসেছে, গুজব প্রচারকারীদের মোক্ষম জবাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করা। এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই এবারের সাইবার যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো, ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক:
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক ভোরের পাতা ও দি পিপলস টাইমস
সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ
প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি
সহ সভাপতি, ইন্ডিয়ান ইম্পোর্টারস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি
সাবেক পরিচালক, এফবিসিসিআই

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।