ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশাশুনিতে হুমকির মুখে ১০ হাজার বিঘা কৃষি জমি, নদী উন্মুক্তের দাবি

নিউজ.
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): দীর্ঘদিন যাবত আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া নদীতে বাঁধ দেয়া ও স্লুইসগেট নির্মাণ না করার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে আবাদি জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বিঘা কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, নদীটি উন্মুক্ত করে বিলের পানি সরে যেতে দিলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই দাবিতে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে চেউটিয়া নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছে অত্র এলাকার সাধারন জনগন। বৃহস্পতিবার সকালে ফটিকখালিতে চেউটিয়া নদীর পাড়ে স্থানীয় শিবপদ মন্ডলের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম, হাবিবুর রহমান, গণেশ চন্দ্র বৈদ্য, প্রদীপ চক্রবর্তী, অরুন মন্ডল, নৃপেন্দ্র মন্ডল, কিংকর মন্ডল, হিরন্ময় মন্ডল, মনিন্দ্রনাথ মন্ডলসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। মানববন্ধনে তারা বলেন, আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার বিঘা আবাদি জমি রয়েছে। প্রতিবছর সেখানে বিপুল পরিমান ধান উৎপাদন হতো যা দিয়ে জেলার একাংশের খাদ্যশস্যের চাহিদা মিটতো। কিন্তু কয়েক বছর যাবত পার্শ্ববর্তী চেউটিয়া নদীটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার পর থেকে বিলের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ মাছ চাষীরা খালের ওপর বাঁধ দিয়ে ও নেটপাটা লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এই কারনে নদীটি পলি জমে ভরাট হয়ে পানি ধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ ঘের তৈরী করায় লোনা পানিও বিলে প্রবেশ করছে। এসব কারণে ওই এলাকার চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ বাদ দিয়ে অনেকে দিনমজুর হিসাবে কাজ করছেন। এর ফলে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে, অর্ধাহারে ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফসল না হওয়ায় বিশাল এই বিলে গরু ও ছাগল চরাচ্ছেন অনেক কৃষক। বক্তারা আরও বলেন, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত কালকি নামক স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হলে বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ সহজ হবে। এছাড়া ইজারা বাতিল করে চেউটিয়া নদীকে খোলপেটুয়া নদীর সাথে সংযোগ করিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রায় ১০ হাজার বিঘার বিশাল এই বিলটিতে যদি ফসল ফলানো না যায় তাহলে কৃষকরা জমি বিক্রি করে দিতে পারে আর এতে লাভবান হবে স্থানীয় ভুমিদস্যূরা। এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঐ বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের ভূমি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান ঐ এলাকা ও চেউটিয়া জলমহল খাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয়দের অভিযোগ শুনে বুঝে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রনি আলম নূর, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহানেওয়াজ ডালিম, সার্ভেয়ার এমদাদুর রহমান তারেক, ইউনিয়ন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল হাই, খাজরা ইউপি সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।