গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় সুন্দরগঞ্জে (কাউনিয়া পয়েন্ট) বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একইদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ নদীর পানি পুরোপুরি নেমে যাবে বলে ধারণা দিচ্ছে গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে আজ রাত থেকেই সুন্দরগঞ্জ এলাকায় আপাতত বন্যার আশঙ্কা থাকছে না।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরগঞ্জের তিস্তার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে এই এলাকায় আপাতত বন্যার আশঙ্কা থাকছে না।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বৃষ্টির প্রভাবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতেও পানি বৃদ্ধি পায়। বুধবার সকাল ৯ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ওই ২৪ ঘণ্টায় সুন্দরগঞ্জে (কাউনিয়া পয়েন্ট) তিস্তার পানি ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন, হরিপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের তুলনামূলক নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে।
এর আগে বুধবার “ভারত থেকে পানি আসার খবরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সচেতনমহল, সুধিজন ও প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিটকে নিয়ে জরুরি মিটিং এবং নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে দিনভর মাইকিং করা হয়। প্রস্তুত করা হয় নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বা ফ্ল্যাট শেল্টার। একই সাথে জরুরি যোগাযোগে কন্ট্রোল রুম চালু করে ব্যবস্থা রাখা হয় জরুরি নৌকার। বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা সকল প্রস্তুতি নেয় উপজেলা প্রশাসন।