ঢাকাশনিবার , ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশাশুনিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য 

নিউজ.
জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ ২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা):
বেকারি পণ্যের নামে আসলে আমরা কি খাচ্ছি? সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার বেশিরভাগ বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণেও রয়েছে চরম অব্যস্থাপনা। এছাড়াও পণ্য রাখার ঘর যেমন অপরিষ্কার। পোকামাকড়েও ভরপুর। সর্বোপরি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নেই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স। আর থাকলে মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হচ্ছে না। অনুমোদন ছাড়াই বেকারি পণ্যের উৎপাদন এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছে। ফলে মানব স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখন হুমকির মুখে পড়ছে। এসব অভিযোগ ছাড়াও বেকারি পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে না। বেকারি কর্তৃপক্ষ বেকারি পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় লাইসেন্স, যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত সকল কর্মচারীর স্বাস্থ্য সনদ, পণ্য ক্রয় চালানের কপি, পেস্ট কন্ট্রোল প্রমাণসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র থাকার কথা থাকলেও এসব অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রক্রিয়াজাত খাবার উৎপাদনে কোন নিয়মনীতির বালাই নেই। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে প্রস্তুতকৃত খাদ্য উৎপাদন, বিতরণ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বেকারি পণ্য চরম নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতসহ কর্মচারীদের কোন স্বাস্থ্য সনদ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আবার কোন কোন খাদ্যের লেবেলিং নেই। উৎপাদনের তারিখ লেখা থাকলেও মেয়াদ লেখা নেই অনেক বেকারি পণ্যের গায়ে। বিশেষ করে খাদ্যের উৎপাদন এবং মেয়াদসহ পণ্যের গায়ে লেবেল সেঁটে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া বেকারি পণ্য উৎপাদনে যে রং ব্যবহার করা হচ্ছে তাও ফুড গ্রেড নয়। ভেজাল পণ্য দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বেকারিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিওর ফুড উৎপাদনে যে মান বজায় রেখে বেকারি পণ্য তৈরি বিধান রয়েছে তার ধারের কাছেও নেই কারখানাগুলো। পণ্যের মান সংরক্ষণে নেই কোন ব্যবস্থা। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হলেও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে না। মূলত সচেতনতার অভাবে বেকারির পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে না। মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করছে না তারা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরীর অভিযোগ রয়েছে। কালিঝুলি মাখা প্রতিটি কারখানার ভেতরে-বাইরে নোংরা কাদা, তরল ময়লা-আবর্জনা পরিবেশ। দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। আশপাশেই নর্দমা ময়লার স্তুূপ। মশা-মাছির ভন ভন আর একাধিক স্থানে কাঁচা-পাকা টয়লেটের অবস্থান। কারখানাগুলো স্থাপিত হয়েছে টিনশেড বিল্ডিংয়ে। বহু পুরনো চালার টিনগুলো স্থানে স্থানে ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির পানিও অনায়াসেই কারখানার ঘরে ঢোকে। এতে পিচ্ছিল কর্দমাক্ত হয়ে থাকে মেঝে, কাদাপানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় খাবারে, কারখানাগুলোয় পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা নেই, গ্রীষ্মকালে দম বন্ধ হওয়ার মতো গরম। এমনি পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। এছাড়াও গ্রীষ্মকালে রাত-দিন গরমে ঘামে চুপসানো অবস্থায় খালি গায়ে বেকারি শ্রমিকরা আটা-ময়দা-দলিত মথিত করে। সেখানেই তৈরি হয় ব্রেড, বিস্কুট, কেকসহ নানা লোভনীয় খাদ্য। উৎপাদন ব্যয় কমাতে এসব বেকারির খাদ্যপণ্যে ভেজাল আটা, ময়দা, ডালডা, তেল, পচা ডিমসহ নিম্নমানের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। কেক ও ব্রেড তৈরির জন্য পেপারমেন্ট, সোডা ও ব্রেকিং পাউডার ব্যবহার করা হচ্ছে। বেকারি কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য সতেজ রাখতে টেক্সটাইলের রংসহ নানা কেমিক্যালও ব্যবহার করেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পরিবেশে ও যেসব দ্রব্য দিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।