ঢাকারবিবার , ৩০ জুলাই ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূরুঙ্গামারীতে হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা: হুজুর পলাতক

নিউজ.
জুলাই ৩০, ২০২৩ ২:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুল ইসলাম জয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ভুরুঙ্গামারীর ধলডাঙ্গায় হযরত ফাতেমা বালক বালিকা প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক কর্তৃক রাতের আধারে মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে আসামি গ্রেপ্তার না করায় স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র এরশাদুল হক (৩২) সরকারি অনুমতি ছাড়াই নিজেই ২০২০ সালে ধলডাঙ্গা বাজারে জনৈক আব্দুর রশিদের বাসা ভাড়া নিয়ে হিফ্জ ও কুরআন শিক্ষায় হযরত ফাতেমা বালক বালিকা প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসা চালু করেন। মাদ্রাসা চালুর পর মাদ্রাসার সাথেই তার বাড়িতে আবাসিক শাখা চালু করে সেখানে রাতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা চালু করে । রাতে যুবতী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়ার সময়ে ইতিপুর্বে একাধিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির লোকজন গোপনে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়। গত ১৭ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হিফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে গেলে উক্ত লম্পট শিক্ষক এরশাদুল হক দরজা ধাক্কা দিয়ে বাথরুমে গিয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে জাপটে ধরে যৌণ লিপ্সা চরিতার্থ করার সময় চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলাতে থাকে। এ সময় ঐ শিক্ষার্থী আত্মরক্ষার জন্য হাতে খামচি দিয়ে দৌড়ে থাকার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

এদিকে রুমে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চিৎকার দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে পরের দিন তার পিতাকে সমুদয় ঘটনা জানায়।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীর পিতা বিষয়টি মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলে লম্পট এরশাদুল হক তার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করলে নিরুপায় হয়ে উক্ত শিক্ষকের কুকের্মর বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি আবু ইউসুফ ও বাড়িওয়ালা আব্দুর রশীদসহ স্থানীয়দের জানানোর পর কোর প্রতিকার না পেয়ে ১৯ জুলাই ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভযোগের পর রহস্যজনক কারণে ঐ লম্পট শিক্ষককে গ্রেপ্তার না করায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ২৫ জুলাই/২৩ ইং ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী ০৩) আইনের ১০ ধারা মোতাবেক একটি মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়।

এদিকে মামলা দায়েরের পরেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি মোঃ রুহুল আমিন জানান,তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগের পরেই মাদ্রাসার সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে দেয় লম্পট এরশাদুল হক। এদিকে ঘটনা জানাজানির পর মাদ্রাসা থেকে মান সম্মানের ভয়ে অনেক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
অনতিবিলম্বে লম্পট ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তারসহ ব্যাঙের ছাতার মত এসব ভুয়া মাদ্রাসা বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।