ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগেরহাটের রামপালে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

নিউজ.
আগস্ট ২৯, ২০২৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আয়ের সাথে ব্যায়ের সংগতি না থাকায় দিন দিন বাজার গুলোতে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ছে। বাজারে মালামালের সরবরাহ ঠিক থাকলেও দিগুণ-তিনগুণ দামে নিত্যপণ্য কিনতে পারছেন না তারা।

উপজেলার ফয়লাহাট, পেড়িখালী বাজার, ঝনঝনিয়া বাজার, কালিগন্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে এবং বেচা-বিক্রির সাথে জড়িতদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এক শ্রেণীর মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে আগুন লেগেছে। হু হু করে বাড়েছে পণ্যের দাম। এ চাড়াও বাজার সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা।

ফয়লা বাজারের কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী আল আমিন জানান, খুলনার মোকাম থেকে গত কয়েক মাস ধরে দিগুণ তিনগুণ দামে প্রত্যেকটি তরিতরকারি কিনতে হচ্ছে। এতে আগের মত আমাদের বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। দাম শুনে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। খুচরা বাজারে আমরা আগের মত ক্রেতা ধরে রাখতে পারছি না। একই কথা বলেন, ভাগা বাজারের রোকন শেখ, শ্রীফলতলা বাজারের আনার শেখ, রামপাল সদরের ফারুক, শহীদ, নূরজামাল ও পেড়িখালী বাজারের মাহামুদ শেখ।

দিন মজুর খলিল বলেন, প্রতিদিন ২/৩ শ টাকা আয় করি। সবদিন আবার আয় হয় না। ৫ জনের সংসার। দুইটি ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে। আমার সংসার চলছে না। একই কথা বলেন আসগর, মোন্তাজ মোল্লাসহ অনেকে।
রামপাল সদরের মুদি ব্যাবসায়ী নূর ইসলাম জানান, মোকামে গিয়ে তিনগুণ দামে পণ্য কিনে আনার পর তা বিক্রির সময় ক্রেতাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়।

সরু চালের পাশাপাশি মোট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, সরু চাল ৭০ থেকে ৮৫ টাকা, আটা খোলটা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত ৭০ টাকা, সয়াবিন খোলা তেল ১৫০, বোতলজাত ১৭৯ টাকা ও শরিষার তেল খোলাটা ২৪০ টাকা এবং বোতলজাত ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মশলার দামও আকাশছোঁয়া। জিরা প্রতি কেজি ১২ শত, মশুর ডাল দেশী ১৪০ ও মোট মশুর ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরকারি আলু ৪৫, বেগুন ৭০, কুমড়া ৩০, ঢেড়শ ৪০, পেঁপে ২০, কুশি ৪০, পটল ৩০, ঝিঙা ৩৫, চাল কুমড়া পিস ২০ টা, কাচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ডিটারজেন্ট, বেকারি সামগ্রী ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপাল উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম, এ সবুর রানা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর এব্য জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটে লাগাম না টানায় দ্রব্যমূল্যে বেড়েই চলেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত বাজার তদারকি করলে এবং নজরদারী বৃদ্ধি করলে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হতো। তিনি বাজার সিন্ডিকেটদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।