ঢাকাবুধবার , ১৯ জুলাই ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাতক্ষীরায় হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিউজ.
জুলাই ১৯, ২০২৩ ৩:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মোছাঃ সানজিদা হোসেন সুজ্যোতি (১৩) নামে এক কিশোরীকে হত্যা করে মরদেহ গোপনের দায়ে তার প্রেমিক আব্দুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড  দিয়েছে আদালত। এছাড়া সাতক্ষীরার আশাশুনিতে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী ও নারী ও শিশু নিরযাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম  এই দুই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। আর রবিউল ইসলামের বাড়ি আশাশুনির মনিপুর গ্রামে।

কলারোয়ার কিশোরী হত্যা মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু জানান,সুজ্যোতি হত্যা মামলার রায়ে আসামীপক্ষ খুশি নন। এরায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চতর আদালতে আপীল করবেন।

তবে জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. আব্দুল লতিফ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুজ্যোতি। সে কলারোয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।  একপর্যায়ে ২৮ মার্চ ভোরে একই গ্রামের বিলের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, মোছাঃ সানজিদা হোসেন সুজ্যোতি ঘটনার এক বছর আগে থেকে তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের সাথে প্রেম করে আসছিল।

এ ঘটনায় সুজ্যোতির মা লাইলী পারভীন বাদি হয়ে ২৯ মার্চ কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পরে আব্দুর রহমানকে ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নিজ গ্রাম জালালাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুর রহমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই সোহরাব হোসেন তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দখল করেন।

এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি আব্দুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে রবিউল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নিরযাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম। ২০১০ সালের ১৩ আগষ্ঠ আশাশুনি থানার এসআই মজিবর রহমান একমাত্র আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। ৫ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।এর আগে একই সালের ২৯ জুন তরুণীর পিতা শফিকুল ইসলাম আশাশুনি থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।