ঢাকাশনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেই পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা : সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানির নীচে সৈয়দপুর শহর

নিউজ.
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ২:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে : সৈয়দপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ পাড়া মহল্লার অধিকাংশ রাস্তাঘাট সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং শহরের বড় বড় ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। ফলে বৃষ্টি আর নালা নর্দমার পানি একাকার হয়ে রাস্তাঘাট  হাটু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। তার উপরে গত ৩ দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের রাস্তাঘাট পরিনত হয়েছে খানাখন্দে। ফলে ওইসব রাস্তায় ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা। এ অবস্থায় পৌরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি উঠেছে পৌর পরিষদের প্রতি। সুত্র জানায় উত্তর জনপদের ব্যস্ততম উপজেলা সৈয়দপুর। আর এখানে রয়েছে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। অথচ সেই প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এখন খানাখন্দে পরিণত। যাচ্ছেতাই ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ড্রেন ও নালা। ফলে পরিকল্পনা ছাড়াই এসব ড্রেন ও নালা নির্মাণ করায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছেনা শহরবাসী। বরং তাদের দূর্ভোগ আরও বেড়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা বিরাজ করলেও শহরবাসীর এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে সৈয়দপুরের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নীরব। এ বিষয়ে তাদের শরনাপন্ন হলেও তারাও তেমন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না। অবস্থা দেখে মনে হয় তারাও অসহায়। শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে শুরু হওয়া আশ্বিনের ভারী বর্ষণের কারণে রাস্তাঘাট হাটু পানির নীচে তলিয়ে গেছে। যানবাহনে চড়ে পানি পার হতে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হওয়া রাস্তায় দূর্ঘটনাও ঘটছে। গতকাল শনিবারও সৈয়দপুরসহ আশেপাশের গোটা এলাকায় দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে বিকেল ৪ টায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক (মাছবাজার),নতুন বাবুপাড়া পৌরসভা সড়ক, নয়াবাজার, হাতিখানা লায়ন্স স্কুল  সড়ক, মুন্সিপাড়া মহিলা,কলেজ রোড, ইসলামিয়া স্কুল রোড, অফিসার্স কলোনী এলাকা, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর এলাকা, নতুন বাবুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়িসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে ওইসব এলাকার রাস্তাঘাট হাটু পানির নীচে। ড্রেন ও নালার পানি উপচে পড়ে বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এলাকার মানুষজন ময়লা পানির উপর দিয়ে পায়ে হেটে অথবা যানবাহনে পারাপার হচ্ছে। শহরের গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা চাকুরিজীবী নওশাদ (৩৬) বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে হোক। এটা প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু তিনি পৌর পরিষদকে ইঙ্গিত করে অনেকটা ক্ষোভ ঝেড়েই বলেন, যদি রাস্তাঘাট সময়মতো নির্মাণ করা হতো তাহলে বৃষ্টিতে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হতো না শহরবাসীকে। একই এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, স্থায়ী পরিকল্পনা ছাড়া ড্রেন ও নালা নির্মাণ করায় শহরের প্রতিটি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জনপ্রতিনিধিরা সমস্যা সমাধানে রয়েছেন নিশ্চুপ। এ প্রসঙ্গে তারা খোড়া যুক্তি দিচ্ছেন বরাদ্দ এলেই খুব শিগগির কাজ শুরু হবে। কলেজ ছাত্রী তারান্নুম, সাদিয়াসহ অনেকেই অভিযোগের সুরে বলেন,সামান্য বৃষ্টির কারণে শহরের অধিকাংশ রাস্তা পানির নীচে তলিয়ে যায়। এ কারণে কলেজে আসা যাওয়া করতে মারাত্মক সমস্যা হয়। অথচ রাস্তা সংস্কারসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, প্রধান প্রধান সড়কগুলোর আজ বেহাল অবস্থা। অথচ এসব নির্মাণ বা সংস্কারের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছেনা। তাদের অভিযোগ সড়কগুলো খানাখন্দ হওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে আসে স্থবিরতা। কারণ শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোর দুইপাশে রয়েছে বিভিন্ন মার্কেট ও অসংখ্য দোকানপাট। এমন কঠিণ অবস্থায় মানুষজনকে দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে পৌর পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।