ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

নিউজ.
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১২:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি: তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও রামপালে চলতি বোরো চাষ মৌসুমে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ভালো আবহাওয়া, মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও সঠিক সময়ে আবাদ করায় এবং কৃষি দপ্তরের নজরদারি থাকায় আশানুরূপ ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগ।

রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চলতি বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার ৯১২ হেক্টর ও উফশী জাতের ৮৯০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে একই সময়ে আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছিল ৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর আরও ২০০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে।
রামপালের ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৪৫০ ও উফশী জাতের ১০৯ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে ২ হাজার ২৭০ হেক্টরে হাইব্রিড ও ৩৩২ হেক্টরে উফশী, বাইনতলা ইউনিয়নে ৭৩৩ হেক্টরে হাইব্রিড ও উফশী ২০৮ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে হাইব্রিড ৩১০ ও উফশী ১৯৬ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টরে হাইব্রিড ও উফশী ১৮ হেক্টরে, হুড়কা ইউনিয়নে হাইব্রিড ২ হেক্টর ও উফশী ২ হেক্টরে, পেড়িখালী ইউনিয়নে হাইব্রিড ২ হেক্টর ও উফশী ১ হেক্টরে, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে হাইব্রিড ৮ হেক্টর ও উফশী ৩ হেক্টরে, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টরে হাইব্রিড ও উফশী ১৫ হেক্টরে ও বাঁশতলী ইউনিয়নে হাইব্রিড ৭ হেক্টরে ও উফশী জাতের ৬ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ওয়ালিউল ইসলাম জানান, রামপাল উপজেলা বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় উপজেলা। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে এবং এখানে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষের কারণে মাটিতে লবনাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাটি ও পানির লবণাক্ততা, খার ও অম্লত্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জমির গুনাগুন দারুণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে কৃষকগণ কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলাতে পারছেন না। সরকারিভাবে বিকল্প চাষ বৃদ্ধি ও লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের ধান চাষ শুরু করার কারণে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ, সার বিনামূল্যে বিতরণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন। সরকার কৃষক ও কৃষিতে সুরক্ষা দিতে নানান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে মাটি ও পানির গুনাগুন পরীক্ষা করে জমিতে উর্বরতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।