ঢাকারবিবার , ৩ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও বিচার
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কবিতা
  7. কৃষি ও চাষাবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশ ও জনপদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডুমুরিয়ায় খালে বাঁধ ও নেটপাটা: তলিয়ে যাওয়ায় শঙ্কায় ২শ’ একর জমির ফসল

নিউজ.
মার্চ ৩, ২০২৪ ২:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখ আব্দুস সালাম, ডুমুরিয়া (খুলনা): ডুমুরিয়ায় কতিপয় প্রভাবশালীরা মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কুড়েঘাটা এলাকার ৩টি খালে আড়াআড়ি বাঁধ নেটপাটা দিয়ে পানির সরবরাহের বাধাগ্রস্থ সৃষ্টি করে মাগুরাঘোনা ও আটলিয়া দুই ইউনিয়নের ২শ একর জমির চলতি মৌসুমি রোপা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আরও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে শতাধিক একর জমির ধানক্ষেত। পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শত শত কৃষক চরম হতাশায় পড়েছে।

প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ক্ষতিগ্রস্থ শতধিক কৃষক একটি লিখিত আবেদন করেছেন। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কুড়েঘাটা বিল, বাইনতলা বিল,গোলাপদাহ বিল,ছোট গোলাপদাহ বিল,চ্যাংমারি বিল,কলমিতলা বিল ও আরশনগর বিলের পানি সরবরাহের জন্য আড়োখালি ও
আন্দুর খালটি ব্যবহার হয়ে আসছে।কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল উক্ত নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পানির গথিপথ বন্ধ করে মাছ চাষ করছে। এর মধ্যে মাগুরাঘোনা গ্রামের সোহাগ শেখ, বাবু শেখ, ইমদাদুল শেখ, ওলিয়ার শেখ, আব্দুল শাহিন, আলিমুল শেখ ও রায়হান উদ্দীন। অপরদিকে একই ভাবে শীতলাখালীর খাল ও আড়োখালটির গোড়া বেঁধে নিয়েছে রেজাউল সরদার এবং কুড়েঘাটার গোলক মন্ডল। বর্তমানে দু’টি খালের দু,পাশে বড় বড় মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ মেশিন লাগিয়ে উক্ত পানি খালে ফেলছে। এতে ধানের জমি থেকে খালের পানির উচ্চতা হয়েছে ৪/৬ ফুট। আবার খালের আড়াআড়িভাবে বাঁধ নোটপাটা দেয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ধান ক্ষেতে প্রবেশ করছে। ফলে আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের প্রায় ৩শ’ একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ধান গাছ গুলো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় অনেক ক্ষেত নস্ট হয়ে গেছে।দ্রুত বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না হলে ধান ক্ষেত নস্ট কৃষকের অপুরনীয় ক্ষতি সাধন হবে।অপর দিকে কুলবাড়িয়া গেট বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ছোটবড় খালের নির্গত সমস্ত এলাকার পানি সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে । এদিকে আবেদনের ৬দিন অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শত শত কৃষক মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষক রঞ্জন সরদার, দেবদাস সানা,গৌর সানা, স্বপন সানা, সনজিব মন্ডল সম্ভু সানা, শ্যামলি সানা,রবিদাস সানা জাহিদুল শেখ,রনজিদ সরদার,পার্থ মন্ডল,দীলিপ সান, বিপ্লব সরদার,অমল সরদার,শাহজাহান বিশ্বাস
দীপংকর সানাসহ স্থানীয়রা জানান
ঘের ব্যবসায়ী আছেন, যারা ধান চাষ করেনি। তারা এখন ঘেরের পানি কমানোর জন্য সেচ মেশিন দিয়ে পানি সেচে খালে দিচ্ছে। এতে খালের পানি ৪/৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পানি সরবরাহের খালের মুখ বন্ধ থাকায় এই পানি ধান ক্ষেতে প্রবেশ করে ধান তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকে মেশিন লাগিয়ে পানি সেচে ধান গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর আবার তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তাই যতক্ষণ কুলবাড়িয়া স্লুইসগেটসহ খাল ৩টির বাঁধ কেটে দেওয়া না হবে, ততক্ষণ খাল থেকে পানি কমানো সম্ভব না।
এলাকাবাসী পানি নিষ্কাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট উধর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আগামীকালই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।